গ্রিক শব্দ gen থেকে genetics এর উৎপত্তি।gen=প্রকাশ পাওয়া(to became বা উদ্ভুত হওয়া)।পিতামাতার আকৃতি ও প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যাবলী যে প্রক্রিয়ার বংশানুক্রমে সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয় তাকে বংশগতি(heredity)বলে। এভাবে বংশানুক্রমে সঞ্চারনের ফলে পিতা ও মাতার সাথে যেমন সাদৃশ্য দেখা যায় তেমনি কিছু বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।একই প্রজাতির দুটি সদস্য এমনকি সহোদর ভাই বোনের মধ্যেও সূক্ষ্ম পার্থক্য বিদ্যমান। নিকট সম্পর্কীয় জীবের মধ্যে বৈসাদৃশ্যকে ভেরিয়েশন বা প্রকরণ বলে।বংশগতি বা প্রকরণ জীবের নতুন প্রজাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে।
মেন্ডেলের সূত্র সমূহ
মেন্ডেলের সাধারণ দুটি সূত্র আছে। একটি হল “একজোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে প্রজননে সৃষ্ট সঙ্কর জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জীনগুলো পরস্পরের মিশ্রিত না হয়ে পরস্পর পাশাপাশি অবস্থান করে এবং পরবর্তী গ্যমিট উৎপাদনের সময় ভিন্ন ভিন্ন গ্যামিটে প্রবেশ করে।”
মেন্ডেলের প্রথম সুত্রের জীন ত্বাত্ত্বিক ব্যাখ্যা
আমরা যদি মানুষ যদি বিবেচনা করি তাইলে গায়ের রঙ হিসেবে বিবেচনা করলে দুই ভাগে ভাগ করতে পারবো। মনে রাখতে হবে যে সাদা রঙ শক্তিশালী এবং কালো রঙ হালকা।
কিন্তু এ সাদা কালো কেন হয়? জ্বীনের ভেতরে তথ্য থাকে আপনি সাদা হবেন নাকি কালো হবেন।এখন আমরা সাদা জ্বিনকে W এবং কালো জিনকে wদ্বারা প্রকাশ করি। আপনারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন যে W টা বড় হাতের কিন্তু wটা ছোট হাতের কেন লিখলাম?? এর কারণটা হচ্ছে w জিনটা প্রচ্ছন্ন অর্থাৎ দুর্বল।কিন্তু জ্বীনের মধ্যে সাদা কালো আবার তিনপ্রকারঃ
1. খাঁটি সাদা(WW)
2. সঙ্কর সাদা(Ww)
3. কালো(ww)
তাহলে একজন মানুষের ভেতর কালো রঙের দায়ী জিন থাকলেই যে সে কালো হবে এমন কোন কথা নেই তার ভেতর একাধিক কালো জিন থাকলেই সে কালো হবে। কিন্তু সাদা রঙের জন্য দায়ী জিন মাত্র একটি থাকলেই সে সাদা হবে। অর্থাৎ আমরা বাইরে থেকে কালো সাদা যা দেখি তাকে ফেনোটাইপ ও ভিতরে যে কোড থাকে সেটা জ্বীনোটাইপ বলে।এখন আমরা যদি দুইজন সঙ্কর সাদা (Wb) ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিই তালে তাদের সন্তানগুলো কেমন হবে তা নিম্নের চেকারবোর্ড বা চার্ট থেকে দেখি।এখানে সংকর সাদা মানে Ww [] এখানে আপনি প্রথম তিনজনকে একদসাথে দেখলে বুঝতে পারবেন না এরা কি সংকর সাদা নাকি খাঁটি সাদা। অর্থাৎ প্রথম তিনজনের ফিনোটাইপ একই অর্থাৎ সাদা। কিন্তু জিনোটাইপ ভিন্ন।কিন্তু চতুর্থ জনের জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ দুইটাই কালো তালে এখানে জিনোটাইপিক অনুপাত হবে ১:২:১ কিন্তু ফিনোটাইপিক অনুপাত হবে সাদা:কালো=৩:১। আশা করি বুঝতে পেরেছেন দুইজন সঙ্কর সাদা (বাইরে থেকে দেখতে সাদা কিন্তু ভিতরে জ্বীনোটাইপে কালো জিন আছে) ব্যাক্তির মাঝে যৌনপ্রজনন ঘটলে প্রতি চারজনে একজন করে কালো হবে। এটি প্রথম জনু সন্তান বলে। দেখা যাচ্ছে শুধু মাত্র প্রচ্ছন্ন জ্বীনের দ্বিত ঘটলেই সেটী প্রকাশ পাচ্ছে তার আগে নয়। ঠিক একইভাবে লম্বা-খাটো, মোটা-চিকন এদের প্রত্যকের ক্ষেত্রেও মেন্ডেলের এ সুত্র প্রজোয্য।এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মা বাবা দুইজন সাদা বা মোটা হওয়া স্বত্ত্বেও কেন চিকন বা কালো সন্তানের জন্ম দেয়!!
এরপরের পর্বে আমরা f2 জনু এবং মেন্ডেলের দ্বিতীয় সুত্র নিয়ে আলোচনা করব। এই পোস্টটি যদি আপনাদের সামান্য জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তবে কমেন্ট করে আমাকে আরো লেখার জন্য উৎসাহিত করবেন।
চাইলেই আমাদের big জ্ঞানী সায়েন্স ম্যাগাজিন প্রজেকটে যোগ দিতে পারেন।
আমাদের সাইট।
মেন্ডেলের সাধারণ দুটি সূত্র আছে। একটি হল “একজোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে প্রজননে সৃষ্ট সঙ্কর জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জীনগুলো পরস্পরের মিশ্রিত না হয়ে পরস্পর পাশাপাশি অবস্থান করে এবং পরবর্তী গ্যমিট উৎপাদনের সময় ভিন্ন ভিন্ন গ্যামিটে প্রবেশ করে।”
মেন্ডেলের প্রথম সুত্রের জীন ত্বাত্ত্বিক ব্যাখ্যা
আমরা যদি মানুষ যদি বিবেচনা করি তাইলে গায়ের রঙ হিসেবে বিবেচনা করলে দুই ভাগে ভাগ করতে পারবো। মনে রাখতে হবে যে সাদা রঙ শক্তিশালী এবং কালো রঙ হালকা।
কিন্তু এ সাদা কালো কেন হয়? জ্বীনের ভেতরে তথ্য থাকে আপনি সাদা হবেন নাকি কালো হবেন।এখন আমরা সাদা জ্বিনকে W এবং কালো জিনকে wদ্বারা প্রকাশ করি। আপনারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন যে W টা বড় হাতের কিন্তু wটা ছোট হাতের কেন লিখলাম?? এর কারণটা হচ্ছে w জিনটা প্রচ্ছন্ন অর্থাৎ দুর্বল।কিন্তু জ্বীনের মধ্যে সাদা কালো আবার তিনপ্রকারঃ
1. খাঁটি সাদা(WW)
2. সঙ্কর সাদা(Ww)
3. কালো(ww)
তাহলে একজন মানুষের ভেতর কালো রঙের দায়ী জিন থাকলেই যে সে কালো হবে এমন কোন কথা নেই তার ভেতর একাধিক কালো জিন থাকলেই সে কালো হবে। কিন্তু সাদা রঙের জন্য দায়ী জিন মাত্র একটি থাকলেই সে সাদা হবে। অর্থাৎ আমরা বাইরে থেকে কালো সাদা যা দেখি তাকে ফেনোটাইপ ও ভিতরে যে কোড থাকে সেটা জ্বীনোটাইপ বলে।এখন আমরা যদি দুইজন সঙ্কর সাদা (Wb) ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিই তালে তাদের সন্তানগুলো কেমন হবে তা নিম্নের চেকারবোর্ড বা চার্ট থেকে দেখি।এখানে সংকর সাদা মানে Ww [] এখানে আপনি প্রথম তিনজনকে একদসাথে দেখলে বুঝতে পারবেন না এরা কি সংকর সাদা নাকি খাঁটি সাদা। অর্থাৎ প্রথম তিনজনের ফিনোটাইপ একই অর্থাৎ সাদা। কিন্তু জিনোটাইপ ভিন্ন।কিন্তু চতুর্থ জনের জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ দুইটাই কালো তালে এখানে জিনোটাইপিক অনুপাত হবে ১:২:১ কিন্তু ফিনোটাইপিক অনুপাত হবে সাদা:কালো=৩:১। আশা করি বুঝতে পেরেছেন দুইজন সঙ্কর সাদা (বাইরে থেকে দেখতে সাদা কিন্তু ভিতরে জ্বীনোটাইপে কালো জিন আছে) ব্যাক্তির মাঝে যৌনপ্রজনন ঘটলে প্রতি চারজনে একজন করে কালো হবে। এটি প্রথম জনু সন্তান বলে। দেখা যাচ্ছে শুধু মাত্র প্রচ্ছন্ন জ্বীনের দ্বিত ঘটলেই সেটী প্রকাশ পাচ্ছে তার আগে নয়। ঠিক একইভাবে লম্বা-খাটো, মোটা-চিকন এদের প্রত্যকের ক্ষেত্রেও মেন্ডেলের এ সুত্র প্রজোয্য।এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মা বাবা দুইজন সাদা বা মোটা হওয়া স্বত্ত্বেও কেন চিকন বা কালো সন্তানের জন্ম দেয়!!
এরপরের পর্বে আমরা f2 জনু এবং মেন্ডেলের দ্বিতীয় সুত্র নিয়ে আলোচনা করব। এই পোস্টটি যদি আপনাদের সামান্য জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তবে কমেন্ট করে আমাকে আরো লেখার জন্য উৎসাহিত করবেন।
চাইলেই আমাদের big জ্ঞানী সায়েন্স ম্যাগাজিন প্রজেকটে যোগ দিতে পারেন।
আমাদের সাইট।
No comments:
Post a Comment