আসসালামুআলাইকুম । সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই ভালোই আছেন । যাহোক আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি । প্রথম পর্বটা অনেক দিন আগেই করা হয়েছে । ভেবেছিলাম খুব তাড়াতাড়িই ২য় পর্ব লিখবো । কিন্তু সময় ব্যাপারি আর কারেন্ট বাবাজির জন্য লেখা সম্ভব হয় নি । আজ বিকালের গনিত কোচিং বন্ধ । ব্যাস,সময় মিলে গেল,তাই ২ টা টিউন লিখতে বসে গেলাম । একটা অর্ধেক লিখেই আর লেখার ইচ্ছে হচ্ছে না । আশা করি সেই প্রতিবেদনটি দুই-একদিনের মধ্যেই পাব্লিশ করবো ইনশাহআল্লাহ । আপাতত ওই প্রতিবেদনটি পড়ার আগে কিছু তথ্য জেনে রাখুন ।
১ । প্রতি ৪০০ বছরে,১৩ বার লিপ ইয়ার শুরু হয় শনি, সোম আর বৃহস্পতিবার দিয়ে। সেই বছরগুলোতে ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় যথাক্রমে রবি, মঙ্গল আর বৃহস্পতি। ১৪ বার লিপ ইয়ার শুরু হয় মঙ্গল আর বুধবার দিয়ে, আর ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় যথাক্রমে শুক্র আর শনিবার।
২ । চিউয়েবল টুথব্রাশ নামে একটি মজার টুথব্রাশ আছে, যেটি দিয়ে দাঁত মাজতে পেস্ট-পানি কিচ্ছু লাগে না, মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চাবালেই হয়! তারপর ফেলে দিলেই দাঁত একদম পরিস্কার! খবরদার ব্যাচেলররা কিন্তু ওই পেস্ট খাবেন না !!!!
৩ । দুনিয়া জুড়ে হিসাব করলে প্রতি বছর প্লেন ক্রাশে যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় গাঁধার পিঠ থেকে পড়ে। এ জন্যই বোধহয় মানুষ গাধার পিঠে না, প্লেনে করেই বিদেশ বেশি যায়।
৪ । গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে রবি ঠাকুর কিন্তু পুরো বইটার হুবুহু অনুবাদ করেননি। মোট ১০৩টা কবিতার মধ্যে ৫২টা কবিতা নিয়েছিলেন বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’ থেকে। বাকিগুলো নিয়েছিলেন ‘গীতিমাল্য’, ‘নৈবেদ্য’ আর ‘খেয়া’ বইগুলো থেকে। তাইতো বলি গুরুজি আমার আগে নোবেল পাইলো ক্যান ( আমি তো ওনার চেয়েও বেশি রিমিক্স করতে পারি ) ।
৫ । পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশিরভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে। (তাইতো কই এত মাছ খাই, কিন্তু আঁশগুলো যায় কোথায়!)
৬ । আমেরিকার শহরের মানুষ খুব কমই সাইকেলে চড়ে; হিসেব করলে তা ১ শতাংশও হবে কিনা সন্দেহ। অনেকটা আমাদের দেশের ঢাকা শহরের মতো আরকি! সে তুলনায় ইউরোপের শহরে মানুষ অনেক বেশি সাইকেলে চড়ে বেড়ায়। এই যেমন ইতালির শহরগুলোর যানবাহনের ৫%-ই সাইকেল। আর নেদারল্যান্ডে তো সংখ্যাটা আরো বেশি, প্রায় ৩০%। ওখানে নাকি প্রতি ৮ জন মানুষের মধ্যে ৭ জনেরই সাইকেল আছে! হি হি হি এই জন্যই কোয়েল মল্লিক শুটিং এর জন্য সাইকেলটাই বেছে নিয়েছিলেন ।
৭ । বর্তমানে চীন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণকারী দেশ । অবশ্য কিছুদিন আগেও কিন্তু চীন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণকারী দেশ ছিলো না । আগে সবচেয়ে দূষণকারী দেশ ছিলো আমেরিকা । একবার চিন্তা করেন, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫% লোক ওখানে বাস করে, আর কিনা পৃথিবীর মোট দূষণের ২৫% দূষণই করে ওই ৫% লোক!!!
৮ । কোন কথা না বলেই মানুষ তার তার মুখ দিয়ে হাজার রকম ভাব প্রকাশ করতে পারে । রাগ, অভিমান, মেজাজ এইসব আরকি । কিন্তু এগুলোর ভেতরে আমরা সবচেয়ে বেশী কি করি জানেন ? হাসি ! হি হি হি হি হি !
৯ । বিজলি চমকানোর তুলনায় ভূমিকম্প কিন্তু অনেক কম হয়। তাই বলে ভাইবেন না সে নিতান্তই কম। প্রতি বছর ভূমিকম্প হয় প্রায় ৫ লক্ষ বার! তবে তার বেশিরভাগই এতোই মৃদু হয়, যে আমরা টেরই পাই না!
১০ । বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন চেয়েছিলেন আমেরিকার জাতীয় পাখি হোক টার্কি (এক ধরনের বড় মোরগ)। কিন্তু ওনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু আমার সপ্ন পুরন হইবোই, “ আমি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল চাই” । দেখছেন আমার সপ্ন পূরন হয়েছে ।
১১ । বিজ্ঞানি টমাস আলভা এডিসন অনেক আগে একটি হেলিকপ্টার বানানোর বুদ্ধি করেছিলেন যেটা চলবে বন্দুকের বারূদ দিয়ে। কিন্তু তার এই বুদ্ধিটা খুব একটা বুদ্ধিমানের মত ছিল না, কারণ এটা বানাতে যেয়ে তিনি তার পুরো ল্যবরেটরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন (ভাজ্ঞিস,উনি উড়ে যান নি) ।
১২ । অংকে এক মিলিয়ন লিখতে ৭টি সংখ্যা লাগে। তেমনি ইংরেজিতে মিলিয়ন শব্দটি লিখতে ৭টি অক্ষর লাগে। আই এম সিরিয়াস,কথা সত্য হইলে টেকটিউনস মিস দিবেন না ।
১৩ । মুরগিরে আবার মাছি বলে ধইরেন না । মুরগিকে কিন্তু পাখি বলে ধরা হয় । তো এ পর্যন্ত একটি মুরগি শূন্যে ডানা ঝাপ্টে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড হচ্ছে ৩০২ ফুট। হায়রে মুরগি!!!
১৪ । জনাব,আপনি কি মাকড়সা ভয় পান? ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, ওরা খুব নিরীহ। কিন্তু আমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সাকে ভয় পেতেই হবে। ওরা এতো বিষাক্ত যে এক কামড়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
১৫ । একটার ওপর একটা বিশাল বিশাল ব্লক বসিয়ে তৈরা করা হয়েছে মিশরের পিরামিডগুলো । তাতে একটা দুটো নয়, যেমন ধরেন গির্জার পিরামিড বানাতে লেগেছে আড়াই মিলিয়ন ব্লক। আচ্ছা, তা না হয় বানালো কিন্তু বসে বসে গুনলো ক্যাডা ?
১৬ । অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়ারা সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে। কাজেই কোন পিপঁড়াকে যদি বাম দিকে উল্টে থাকতে দেখেন , বুঝে নিবেন এটি নিশ্চয়ই স্কুল ফাঁকি দেবার জন্য অজ্ঞান হবার অভিনয় করছে।
১৭ । বাংলাভাষায় বিশ্বের বিশ কোটিরও বেশি মানুষ কথা বলে। এসব মানুষের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে।
১৮ । গোল্ড ফিস ছোট্ট হলে কি হবে, ওদের কেউ কেউ ৪০বছর পর্যন্তও বাঁচতে পারে । হুম,সাবধান কিছু গোল্ডফিশ কিন্তু আপনার চেয়েও বড় । অতেব গোল্ডফিশের সাথে সন্মান দিয়ে কথা বলবেন ।
১৯ । ডলফিন নিয়েতো অনেক কিছুই জানেন । একটা মজার বিষয় জানেন কি, ডলফিন কখনোই পুরোপুরি ঘুমায় না? হ্যা, সত্যি সত্যিই ওরা কখনোই পুরোপুরি ঘুমায় না। সবারই কিন্তু মস্তিষ্কের দুটো অংশ আছে। এগুলোকে ইংরেজিতে বলে হেমিস্ফেয়ার। একটা হলো ডান হেমিস্ফেয়ার বা ডানার্ধ, আরেকটা বাম হেমিস্ফেয়ার বা বামার্ধ। আর ওরা যখন ঘুমায়, তখন এই দুটোর একটা ঘুমায় তো আরেকটা জেগে থাকে। ফলে সবসময়ই ওরা একটু হলেও সচেতন থাকে। সাবধান,ডলফিন ঘুমিয়ে থাকলেও এর সামনে কোন সিক্রেট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন না,ব্যাটা কিন্তু বড্ড শয়তান ।
২০ । ইলা মিত্র যে খুব বড়ো মাপের নেত্রী ছিলেন, সেই সঙ্গে ছিলেন তুখোড় অ্যাথলেট, সেই সব গল্পই তো আমরা বিশেষ রচনাতে পড়ে ফেলেছি। কিন্তু জানেন কি, তিনি লেখকও ছিলেন? তিনি একগাদা রুশ বইয়ের অনুবাদ করেছিলেন। তার মধ্যে আছে ‘হিরোশিমার মেয়ে’, ‘জেলখানার চিঠি’, আরো কত্তোগুলো!
বিঃদ্রঃ তথ্যগুলো সবই গুগল মামার কাছ থেকে ধার করা । তাই কোন কিছু ভূল হলে লেখক দায়ী নয় । তথ্যগুলো সংরহ করে যথাসাধ্য পরিশ্রম করে একটু ভিন্নভাবে আপনাদের কাছে পরিবেশনের চেষ্টা করলাম ।
No comments:
Post a Comment