সৌন্দর্যের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আপেক্ষিক আর আবেগজনিত। একজনের কাছে একটা ব্যাপার ভালো লাগলেও অন্যজনের কাছে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে। যাই হোক, আজ আমরা অন্যান্য সৌন্দর্যের কথা বাদই দিলাম। আজ শুধু আমরা মানুষের সৌন্দর্যের কথাই বলব। অনেকে বলবেন এটা আবার বলার কি হল? আসলে ব্যাপারটা অত সহজ না যতটা আমরা ভাবি। মানুষের সৌন্দর্য নির্ভর করে ক্ষমতা, সময় আর পরিবেশের উপর। একটা কথা আছে না যে, "বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃকোড়ে"। কথাটা হাড়ে হাড়ে সত্য।
বর্তমানে আমরা সুন্দরের কথা বললে ফর্সা আর চিকন মানুষের কথাই বলব। কিন্তু আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে পরিস্থিতি কেমন ছিল? আসলে তখন ব্যাপারটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তো চলুন দেখা যাক আমরা কিভাবে সৌন্দর্যের মানদণ্ড নির্ধারণ করে থাকি...
সৌন্দর্যের মানদণ্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। অর্থাৎ কোন এক সময়ে যে ধরনের মানুষ দেশের ক্ষমতায় থাকে সেই দেশের সকল মানুষ ঐ ক্ষমতাবান মানুষদের মত হতে চায়। যেমনঃ বর্তমানে বলতে গেলে পৃথিবীর আধিপত্য সাদা মানুষদের হাতে অর্থাৎ ইংল্যান্ড বা আমেরিকার মত দেশের মানুষের হাতে। ক্ষমতার বেশিরভাগ লোকই সাদা চামড়ার। তাই বর্তমানে সকলেই তাদের অনুকরণ করতে চায়। সহজভাবে বলতে গেলে বিখ্যাত খেলোয়াড় নেঈমারের চুলের কাটিং যেমনই হোক না কেন সকলে তাতেই সৌন্দর্য খুঁজে পায়। এইজন্যেই বর্তমানে আমাদের সৌন্দর্যের মানদণ্ড হল সাদা চামড়ার মানুষ। কিন্তু যখন পৃথিবীতে আরবদের অর্থাৎ কালো মানুষের আধিপত্য বিরাজ করত তখন সকলেই কিন্তু সেই কালো মানুষদেরকেই সুন্দর বলেছে। তাদের রাজা-রানিরা ছিল কালো। তাই সকলেই কালো হতে চাইত, তাদেরমত সাজসজ্জা নিতে চেষ্টা করত। তাই তখন সুন্দরের মানদণ্ডে ছিল কালো মানুষেরা।
এভাবেই সময়ের সাথে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা পাল্টায়। সুতরাং সৌন্দর্যের মানদণ্ড বলতে স্থায়ী কিছু নেই। আজ যাদেরকে সুন্দর বলা হয় হয়ত কাল তাদেরকে কুচ্ছিত জ্ঞান করা হবে।
কেউ কিছু মনে না করলে একটু অ্যাডভার্টাইজ করব।
'ওমেগা প্রাইম' নামক একটা অর্গানাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা সারাদেশে বিজ্ঞান চর্চা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে প্রধান হল বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশ, বিজ্ঞান আলোচনা আয়োজন, জ্যোতির্বিজ্ঞান কর্মশালা। আর এসকল কাজ নিজেদের পকেটের টাকা দিয়েই করতে হচ্ছে। আমরা কেবল চাই দেশে যেন বিজ্ঞান চর্চাটা বৃদ্ধি পাক। তাই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
No comments:
Post a Comment