এই বেকার জীবনে কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না ।চাকরীর আশায় প্রতিদিন বাসা থেকে বের হই , কিন্তু বাসায় প্রতিদিনই গোমরা মুখ করে ফিরে আসি । এই দুনিয়ায় ভাল ডিগ্রি নিয়েও ভাল চাকরী পাচ্ছি না । মামা চাচা না থাকলে এই চাকরীর বাজারে ভাল চাকরী পাওয়া অনেকটা অমাবস্যার আকাশের চাঁদ দেখার মত ।
প্রতি রাতেই চিন্তা করি এইভাবে আর কতদিন বাপের হোটেল এ খামু । বাবা মাঝেমধ্যে শুক্রবারে যখন বলে যা বাবা , আজকে বাজারটা তুই করবি । কিন্তু পকেটে টাকা নাই , বাজার করব কিভাবে ?
তবুও বাবাকে বুঝতে দেই না , চাকরী না পাওয়ায় আমার পকেট টা ফাকা । যেভাবেই পারি মেনেজ করে নিই ।
আজ ক্যালেন্ডারের পাতা লক্ষ্য করে দেখলাম প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে আমার বেকার জীবনের ।
বেকারত্ব যে আমার রঙ্গিন জীবনটাকে বিবর্ন করে দিচ্ছে তা আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না ।
সিকারেট টা মাত্র শেষ করে মাটিতে ফেলে দিলাম ,সাথে সাথে মোবাইলে রিং বেজে উঠল । এত রাতে আমার মত বেকারকে আবার কে ফোন দিল ।
ফোন রিসিভ করেই দেখি , অপর প্রান্ত থেকে কে যেন হ্যালো বলছে । কন্ঠটা বেশ পরিচিত ই মনে হল , তাই বললাম কে বলছেন :-
'নাহিদ , আমি মিলি চিনতে পেরেছিস নিশ্চই '
:-কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেলাম , আমার ভার্সিটি লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড মিলির হঠাত এতো রাতে ফোন করেছে বলে ,
এই সেই মিলি যাকে অনেক ভালবাসতাম কিন্তু বলবো বলবো করে আর মনের কথা বলতে পারি নি ।
"-কিরে কথা বলছিস না কেন ? "
:- অই পাগলি , এত দিন পর আমার কথা মনে পড়েছে বুঝি , তুই দেশে আসলি কবে?
"তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলি , তাই তোকে মনে পরবে নাতো কাকে মনে পড়বে বল ,এইতো এক সপ্তাহ হলো দেশে এসেছি , তা তর কি খবর বল ?
:-নারে অবস্থা তেমন ভাল না । চাকরী নাই তাই এখনও বেকার , তোর কি খবর বল ?
" সব খবর কি ফোনেই নিবি নাকি , কালকে চল কোথাও বসে আড্ডা দেই , তখনই সব কথা হবে । কোথায় দেখা করবি বল ? "
:- ও তাই বুঝি ,কালকে পার্কে আসিস ।
"নাহিদ ভাল থাকিস কালকে দেখা হবে ,বাই ।
ফোনটা রেখে দেওয়ার পর ভার্সিটি লাইফের কথা গুলো মনে পড়ল । ভার্সিটিতে মিলি আর আমিই ছিলাম আমাদের ফ্রেন্ড গ্রুপের বাচাল পারসন । কথা , আড্ডা আর ঝগরা সবসময় লেগেই থাকতো ।ভার্সিটি লাইফের শেষের দিকেই মিলি হঠাত করে আমেরিকা চলে যায় । তারপর থেকেই যোগাযোগ কমে যেতে যেতে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।
রাতে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারি নি , সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিলির সাথে দেখা করার কথা মনে পড়ল । নাস্তা করেই ওর সাথে দেখা করলাম ।
অনেকক্ষন কথা বলার পর জানতে পারলাম,আমেরিকাতে ওর পড়ালেখা শেষ ,দেশে এসেই নাকি ব্যাংকে জয়েন করছে ।
তারপর থেকেই প্রায়ই দেখা হত মিলির সাথে , ফোনে সবসময় ই কথা বলা শুরু হল ।
অন্যদিকে হন্য হন্য হয়েও চাকরি না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আর চাকরি করবো না । ঘোষ দিয়ে চাকরি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু ব্যবসায় প্রথমেই সুপার লোকসান করে বুঝলাম আমি আসলেই অকর্মা । কোন কাজের ই নই ।
অই দিকে মিলির সাথেও সম্পর্ক ঘনিষ্ট হতে শুরু করল । বেকার লোকের গার্লফ্রেন্ড হওয়ার মাশুল হিসেবেই সবসময় মিলিকেই বিল দিতে হত ।
এভাবে কিছুদিন চলার পরে হঠাত একদিন মিলি বলল দেশে এসে তোর মত বন্ধুকে আবার পাবো বলে আশা করি নি । সত্যিই আমি লাকি ।
আরও কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর হঠাত একদিন মিলি ফোন দিয়ে বলল যে* ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ওর খালাতো ভাইয়ের সাথে যাকে, সে ছোট থেকেই পছন্দ করত । *
আমার মাথায় সাথে সাথে আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম এই স্বাভাবিক জীবন থেকে । পা বাড়ালাম নেশার পথে । আজ আমি নেশার পথে মৃত্যুর দিকে পা দিচ্ছি ।
কিন্তু আমি প্রেম করতে না পারার ব্যার্থতায় ভুলে গিয়েছিলাম আমার মা বাবার কথা । যারা আমার এই করুণ অবস্থা সহ্য করতে না পেরে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন । প্রেমের পরাজয়ে আমি এমনি অন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলাম যে ,ভুলে গিয়েছিলাম প্রেম একবার গেলে আবার আসবে এই জীবনে , কিন্তু আমি একবার চলে গেলে আমার মা আরেকটি ছেলে খুজে পাবে না ।
প্রতি রাতেই চিন্তা করি এইভাবে আর কতদিন বাপের হোটেল এ খামু । বাবা মাঝেমধ্যে শুক্রবারে যখন বলে যা বাবা , আজকে বাজারটা তুই করবি । কিন্তু পকেটে টাকা নাই , বাজার করব কিভাবে ?
তবুও বাবাকে বুঝতে দেই না , চাকরী না পাওয়ায় আমার পকেট টা ফাকা । যেভাবেই পারি মেনেজ করে নিই ।
আজ ক্যালেন্ডারের পাতা লক্ষ্য করে দেখলাম প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে আমার বেকার জীবনের ।
বেকারত্ব যে আমার রঙ্গিন জীবনটাকে বিবর্ন করে দিচ্ছে তা আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না ।
সিকারেট টা মাত্র শেষ করে মাটিতে ফেলে দিলাম ,সাথে সাথে মোবাইলে রিং বেজে উঠল । এত রাতে আমার মত বেকারকে আবার কে ফোন দিল ।
ফোন রিসিভ করেই দেখি , অপর প্রান্ত থেকে কে যেন হ্যালো বলছে । কন্ঠটা বেশ পরিচিত ই মনে হল , তাই বললাম কে বলছেন :-
'নাহিদ , আমি মিলি চিনতে পেরেছিস নিশ্চই '
:-কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেলাম , আমার ভার্সিটি লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড মিলির হঠাত এতো রাতে ফোন করেছে বলে ,
এই সেই মিলি যাকে অনেক ভালবাসতাম কিন্তু বলবো বলবো করে আর মনের কথা বলতে পারি নি ।
"-কিরে কথা বলছিস না কেন ? "
:- অই পাগলি , এত দিন পর আমার কথা মনে পড়েছে বুঝি , তুই দেশে আসলি কবে?
"তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলি , তাই তোকে মনে পরবে নাতো কাকে মনে পড়বে বল ,এইতো এক সপ্তাহ হলো দেশে এসেছি , তা তর কি খবর বল ?
:-নারে অবস্থা তেমন ভাল না । চাকরী নাই তাই এখনও বেকার , তোর কি খবর বল ?
" সব খবর কি ফোনেই নিবি নাকি , কালকে চল কোথাও বসে আড্ডা দেই , তখনই সব কথা হবে । কোথায় দেখা করবি বল ? "
:- ও তাই বুঝি ,কালকে পার্কে আসিস ।
"নাহিদ ভাল থাকিস কালকে দেখা হবে ,বাই ।
ফোনটা রেখে দেওয়ার পর ভার্সিটি লাইফের কথা গুলো মনে পড়ল । ভার্সিটিতে মিলি আর আমিই ছিলাম আমাদের ফ্রেন্ড গ্রুপের বাচাল পারসন । কথা , আড্ডা আর ঝগরা সবসময় লেগেই থাকতো ।ভার্সিটি লাইফের শেষের দিকেই মিলি হঠাত করে আমেরিকা চলে যায় । তারপর থেকেই যোগাযোগ কমে যেতে যেতে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।
রাতে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারি নি , সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিলির সাথে দেখা করার কথা মনে পড়ল । নাস্তা করেই ওর সাথে দেখা করলাম ।
অনেকক্ষন কথা বলার পর জানতে পারলাম,আমেরিকাতে ওর পড়ালেখা শেষ ,দেশে এসেই নাকি ব্যাংকে জয়েন করছে ।
তারপর থেকেই প্রায়ই দেখা হত মিলির সাথে , ফোনে সবসময় ই কথা বলা শুরু হল ।
অন্যদিকে হন্য হন্য হয়েও চাকরি না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আর চাকরি করবো না । ঘোষ দিয়ে চাকরি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু ব্যবসায় প্রথমেই সুপার লোকসান করে বুঝলাম আমি আসলেই অকর্মা । কোন কাজের ই নই ।
অই দিকে মিলির সাথেও সম্পর্ক ঘনিষ্ট হতে শুরু করল । বেকার লোকের গার্লফ্রেন্ড হওয়ার মাশুল হিসেবেই সবসময় মিলিকেই বিল দিতে হত ।
এভাবে কিছুদিন চলার পরে হঠাত একদিন মিলি বলল দেশে এসে তোর মত বন্ধুকে আবার পাবো বলে আশা করি নি । সত্যিই আমি লাকি ।
আরও কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর হঠাত একদিন মিলি ফোন দিয়ে বলল যে* ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ওর খালাতো ভাইয়ের সাথে যাকে, সে ছোট থেকেই পছন্দ করত । *
আমার মাথায় সাথে সাথে আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম এই স্বাভাবিক জীবন থেকে । পা বাড়ালাম নেশার পথে । আজ আমি নেশার পথে মৃত্যুর দিকে পা দিচ্ছি ।
কিন্তু আমি প্রেম করতে না পারার ব্যার্থতায় ভুলে গিয়েছিলাম আমার মা বাবার কথা । যারা আমার এই করুণ অবস্থা সহ্য করতে না পেরে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন । প্রেমের পরাজয়ে আমি এমনি অন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলাম যে ,ভুলে গিয়েছিলাম প্রেম একবার গেলে আবার আসবে এই জীবনে , কিন্তু আমি একবার চলে গেলে আমার মা আরেকটি ছেলে খুজে পাবে না ।
No comments:
Post a Comment