Time is money

Sunday, November 29, 2015

সহজ সরল মানুষ। z5


আবেগ-প্রবন মানুষগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য একটি সমস্যা হলো তারা অনেক বোকা। এদেরকে যদি কেউ একটু ইনিয়ে বিনিয়ে মিষ্টি করে কথা বলে তাকে সে আপনজন ভাবতে শুরু করে।তবে হ্যাঁ এই সমস্ত আবেগ-প্রবন মানুষগুলোর মাঝে খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার আলাদা একটা ক্ষমতা থাকে...ঠিক তেমনি এরা শত কষ্টের মাঝেও প্রিয় মানুষটিকে হুট করে ছাড়তে পারেনা।
.
সম্পর্কের শুরুতে এদেরকে আপনি যাই বলেন না কেনো সেটাই বিশ্বাস করে মনে মনে বাস্তবতার বীজ বপন করে।এটা মূলত হয় তার সাবকাস মাইন্ড থেকে..মানুষটি নিজেও টের পায়না সে আপনাকে নিয়ে কতোটা কল্পনাবিলাসী।তাই দয়া করে এই মানুষগুলোর আবেগ নিয়ে কখনো খেলতে যাবেন না। খেলার যদি খুব ইচ্ছা হয় বাজার থেকে খেলনা কিনে ইচ্ছে মত খেলুন তবুও মানুষের মন নিয়ে নয়।
.
যদি কোনো মানুষকে প্রচন্ড রকমের ভালবাসেন তাহলে তাকে নিয়ে আগে কিছুক্ষন ভাবুন...হুম তার হাতটি ধরার আগে চিন্তা করে নেন সারাটি জীবন মানুষটার হাত ধরে রাখতে পারবেন কিনা। যদি না পারেন তাহলে ক্ষনিকের জন্য হাতটি ধরে মিথ্যে আশ্বাস দিবেন না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটা হয় তা হল-ফ্যামিলি প্রব্লেম...বাবা-মা মানছে না..বাবা মেয়ে ঠিক করে রেখেছে...কিংবা তুমি দেখতে কালো..কম শিক্ষিত...তোমার ফ্যামিলির অবস্থা আমাদের থেকে খারাপ...তোমাদের এটা নেই কেন...ওটা কম কেন...ব্লা..ব্লা আরো অনেক কিছু। আরে ভাই এটা তো একটা কমন প্রব্লেম...!!
.
সব সম্পর্কেই এমন দু একটা বাঁধা আসবেই...আর সেটা যদি আপনি সমাধানে অক্ষম হন তাহলে মানুষটির হাত ধরার দরকার নেই...ভদ্র ছেলে-মেয়ের মত চুপ চাপ ঘরে বসে থাকেন...অযথা কোনো মানুষের জীবনে আলোর প্রদিপ হয়ে গিয়ে টুপ করে নিভে যাওয়ার কোনো মানে হয়না। অাবার অনেকেই আছে এই পরিস্থিতিতে পড়ে কমন যে সব ডাইলোগ দেয় তা হল-"জান আমি কিন্তু সত্যিই তোমাকে ভালবাসি তবে......এখানেই ফুলষ্টপ হয়ে যায়...এই "তবে" আর শেষ হয়না। একটি সম্পর্কের ইতি টানতে এই তবে" টাই অনেক কিছু।
.
যদি এমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে প্লিজ মানুষটির হাতটি ধরে মিথ্যে স্বপ্ন দেখাবেন না। আপনি হয়তো পরিস্থিতিতে পরে দৃঢ মনে মানুষটিকে এই শান্তনার বানী শুনিয়ে দিলেন কিন্তু কখনো কি মানুষটির জায়গায় থেকে আবেগ বোঝার চেষ্টা করেছেন.? নাহ করেন নি...!!
এ হলো সেই মানুষ যে আপনার সাথে সাতশ রাত জেগে কথা বলে বলেছে আর আপনার প্রতিটা কথায় সে হারিয়ে গেছে কল্পনাপুরীতে।
.
আপনি যখন বলেছেন চান্দের দেশে আমাদের একটা ছোট্র কুঁড়েঘর হবে...আর সে তখন চট করে বলেছে সেই কুঁড়েঘরে আমি তুমি আর আমাদের সুন্দর একটা মেয়ে থাকবে... চিন্তা করতে পারবেন আপনি-যে মেয়েটার এখনও বিয়ে হয়নি সে আপনাকে নিয়ে কতোটা গভীর চিন্তা করলে এমন স্বপ্ন দেখতে পারে...হু সত্যিই এই মানুষগুলো আবেগপ্রবন...এরা খুব সহজেই সব কিছু বিশ্বাস করে নেয়।
.
আপনি খেয়াল করে দেখবেন প্রেমের প্রথম স্টেজে আপনি যে কথাগুলো মানুষটিকে বলেছিলেন এখনো সে এগুলো মনে রেখেছে...শুধু মনেই রাখেনি এগুলো নিয়ে স্বপ্নও দেখেছে অনেক।তাই এই মানুষগুলোকে কখনো খেলনা ভেবে তাদের ছোট্ট-ছোট্র আবেগ নিয়ে খেলবেন না দয়া করে।
.
আবার অনেকেই আছে পরিস্থিতির কথা মুখ ফুটে বলতে না পেরে মানুষটাকে এভোয়েট করা শুরু করে কিংবা সামান্য কথায় প্রচন্ড পরিমান রেগে যায়। হঠাৎ করে বদলে যাওয়া এই মানুষটাকে নিয়ে তখন অপর জনের খটকা লাগে। দিনের পর দিন কষ্ট পেতে থাকে...দরজার ছিটকেনি লাগিয়ে স্যাড ইমোশনের গানগুলো বার বার শুনে আর চোখের জলে বালিশ ভেজায়। বাহিরে থেকে এসব আবেগ প্রবন মানুষগুলোকে এমন দেখলেও তাদের ভেতরের সুপ্ত অভিমানটা যদি কখনও জেগে ওঠে তখন তারা নিশ্চুপে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে..!!
.
এই সব মানুষগুলোকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই...ধরুন আজকে রাতে আপনার বাবা হার্ট-এটাকে মারা গেছে..এখন যদি আমি আপনাকে গিয়ে বলি-দেখো মানুষ মাত্রই মরনশীল...আমাকে তোমাকে সবাইকে এভাবে মরতে হবে..এই কথাটি শুনে কি আপনার কান্না বন্ধ হবে.?
হবেনা...কারন আমরা সবাই মরে যাবো কথাটি আপনি নিজে জানলেও আবেগ ধরে রাখতে পারেন না। কান্নার মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন।
.
তাই এই সব মানুষদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ ছোট্র ছোট্র রাগ অভিমান গুলো কখনো জমিয়ে রাখবেন না...কান্নার মাধ্যমে সাথে সাথে তা নিঃশ্বেস করে দিন...কিছুদিন আগে মেঘলা নামে এক আপু আমাকে বলেছিল-"ভাইয়া আমার ভালবাসার মানুষটা না অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে...আমার মনে হয় ওর বাসা থেকে ওর বিয়ে ঠিক হইছে..তাই ও আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এখন আমি কি করবো..ওকে না পেলে তো আমি বাঁচবোনা।
.
চুপটি করে কথাগুলো শুনে শুধু বলেছিলাম অনেক বেশি কান্না করো...দেখবে মনটা হালকা লাগবে...শুধু এ টুকুই...কারন আমি জানি তাকে যদি এই মুহুর্তে কিছু জ্ঞান দিতে যাই তাহলে তার কাছে তা করলার রসের থেকেও বিষাদময় মনে হবে।
.
সর্বদা পাশে থাকুন ভালবাসার মানুষগুলির...আর প্রান খুলে ভালবাসুন।

সংগ্রহীত

No comments: